খুলনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্র“পে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর খালিশপুরে সুধী সমাবেশ চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, শুক্রবার নগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে বিএনপি’র ৮ এবং ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সুধী সমাবেশ নির্ধারিত ছিল। সমাবেশস্থলে সামনের চেয়ারে বসা ও মঞ্চে উঠা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্র“প তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা উভয় গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় গ্র“পের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক ইয়াসিন মোল­া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মোঃ সোহেল, ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ নূরুজ্জামান, বিপ্লব, মোয়াজ্জেম, নাজমুল, আরিফুর রহমান, রানা, সোহেল ও হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খালিশপুর থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, মঞ্চে উঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে তাদেরকে দেখে এসেছেন।

খালিশপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

সরোয়ারসহ ৪ নেতা-কর্মী বহিষ্কার: নগরীর  খালিশপুর থানার অন্তর্গত ৮ ও ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপি’র সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালিশপুর থানার অন্তর্গত ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিস্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার রাতে বিএনপি মিডিয়া সেল মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর বিজ্ঞপ্তিতে ওই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উলে­খ করা হয়েছে। এছাড়া ১ (এক) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে উলে­খ করা হয়েছে।